#গল্প_কালো_যাদু (২)

#Writer_Mst_Moni

#Part_01

বিঃদ্রঃ এই গল্পে কালো যাদুর ভয়ানক পরিনতি এবং জ্বীন সম্পর্কিত কল্পকাহিনী উল্লেখ করা হয়েছে।

 

নিজের স্ত্রীর শরীরটা কয়েক টুকরো করে বক্সে ভরছে রাব্বি। মাঝপথেই এক বৃদ্ধ লোক একটা মেয়ের লা’শ কাঁধে নিয়ে হাজির হলো রাব্বির সামনে। রাব্বি মাথা উঁচু করে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে বৃদ্ধ লোকটাকে একবার পরখ করে নিলো। বৃদ্ধ লোকটাকে দেখে চমকে যাওয়ার কথা থাকলেও রাব্বি চমকালো না। তাও কৃত্রিম ভাবে চমকানোর ভং ধরে ফের আরো একবার বৃদ্ধ লোকটার দিকে তাকালো রাব্বি। কাঁধে লা’শ হয়ে থাকা মেয়েটার মৃ’ত্যু হয়েছে কয়েকদিন আগেই। এবং যেই বৃদ্ধ লোকটা নিয়ে এসেছে সে নিজেই এই মেয়েটাকে খু’ন করেছিল। যার শাস্তি হিসেবে লোকটাকে ফাঁ’সি দেয়া হয়েছিল। 

এই মুহুর্তে লোকটা কিভাবে এখানে আসলো সেটা ভাবার সময় রাব্বির হাতে একদম নেই। ফের নিজের কাজে মনোযোগী হলো রাব্বি। কাঁ’টা আঙুলগুলো একটা একটা করে বক্সে ঢুকাতেই গত জন্মদিনে মাহিকে দেয়া রিংটা চোখে পড়লো রাব্বির। রিংটা খুলে পকেটে নিয়ে মাহির আঙুলটা ফের বক্সে ঢুকিয়ে প্যাকিং করে নিলো দ্রুত। 

বৃদ্ধ লোকটা রাব্বির পাশে লা’শটা নামিয়ে রেখে বললো “আমি শুনেছিলাম আপনার একটা মেয়ের লা’শ লাগবে। তাই নিয়ে এলাম আপনার জন্য। তবে একজন কলেজের লেকচারার হয়ে কালো যাদুর দিকে ঝোঁক আপনার আসলো কিভাবে?” রাব্বি কোনো উত্তর দিলো না। পরিবেশ থমথমে দেখে বৃদ্ধ লোকটা খুকখুক করে কাশি দিয়ে বললো “কি হলো উত্তর দিচ্ছেন না যে?” রাব্বি বৃদ্ধ লোকটার দিকে তাকিয়ে বললো “কেন? কালো যাদুর নিয়মাবলীতে কি লেখা আছে কলেজের লেকচারার রা কালো যাদু করতে পারবে না? যাইহোক লা’শ দরকার ছিল আমার, তবে এখন দরকার নেই।” বৃদ্ধ লোকটা মাহির কাঁ’টা মাথাটার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো “মেয়েটা কে? আপনার কাছের কেউ?” রাব্বি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো “জ্বী হ্যাঁ, আমার স্ত্রী।” 

 

-আপনার স্ত্রী মানে? আপনার বিয়ে করা স্ত্রী? 

-বিয়ে করা ছাড়া স্ত্রী কিভাবে হয় সেটা আসলে আমার জানা নেই। 

-দুঃখিত, কথাটা সেভাবে বলতে চাইনি। 

-হুম, আপনি বুঝলেন কিভাবে মেয়েটা আমার কাছের কেউ?

-আপনি বার বার মেয়েটার মুখের দিকে তাকাচ্ছেন তাই। 

-আচ্ছা, আজ আসি। আমাকে যেতে হবে! 

-লা’শটা? 

-আপাতত দরকার নেই, আপনার কাছে রেখে দিন। 

-আমি এখানেই অপেক্ষা করবো, আসবেন কিন্তু। 

-দেখা যাক। 

-আপনি আপনার স্ত্রীকে খু’ন করলেন কেন?

-কালো যাদু!! 

 

বাড়ির পথে রওনা দিলো রাব্বি, হাতে একটা ব্যাগ এবং বক্স। বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে বড় করে দীর্ঘশ্বাস ফেললো রাব্বি। মাহির কথা মনে পড়ছে খুব। মাহিকে যথেষ্ট পরিমানেই ভালোবাসতো রাব্বি। তবে এই পরিনতি হবে সেটা ভাবেনি রাব্বি। মনে মনে কালো যাদু করার জন্য আফসোস করে নিলো একবার। 

পকেট হাতিয়ে ঘরের চাবি বের করে দরজা খোলার আগেই দরজা খুলে গেলো। ভেতর থেকে মাহি দরজা খুলে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে। মাহিকে দেখে থ হয়ে যায় রাব্বি। একবার হাতে থাকা বক্সের দিকে একবার মাহির দিকে তাকাচ্ছে রাব্বি। মাহি দরজা ছেড়ে রাব্বিকে ভেতরে যেতে বললো। রাব্বি কোনো কথা না বলে ভেতরে গিয়ে ধপ করে বসে পড়ে সোফায়। মাহি একগ্লাস পানি এনে রাব্বির সামনে ধরতেই রাব্বি ঢকঢক করে পানি গ্লাস খেয়ে নিলো। 

মাহি পাশে বসতে বসতে বললো “কি হলো, খুব চিন্তিত মনে হচ্ছে তোমাকে। কিছু হয়েছে?” 

রাব্বি থতমত খেয়ে বললো “কই না তো কিছু হয়নি, একটু কাজ ছিল তাই চিন্তিত মনে হচ্ছে আর কিছু না।” মাহি উঠে পাখা চালু করে টিভিতে নিউজ চ্যানেল দিয়ে বসলো রাব্বির সাথেই। 

গতকাল রাতে শহরের বুকেই ব্যস্ত রাস্তায় একটা মেয়ে খু’ন হয়েছে। তবে খু’নির মুখটা স্পষ্ট দেখা যায়নি। পুলিশ তদন্ত করছে খু’ন নিয়ে। 

 

খবরটা শোনার পর গলা শুকিয়ে গেলো রাব্বির। লোকটা ও নিজেই ছিল, তবে মেয়েটা মাহি ছিল। গতরাতেই শপিং করে বাড়ি ফেরার পথে গৌল জ্বীন এসে রাব্বির কানে কানে মাহিকে হ’ত্যা করার কথাটা বলে। এবং সে জানায় সে মাহিকে ভক্ষন করতে চায়। 

 

“গৌল হচ্ছে বিশেষ প্রজাতির জ্বীন। এরা নিজেদের রুপ পরিবর্তন করতে পারে। এরা মানুষের মাংস ভক্ষন এবং র’ক্ত পান করে থাকে। এরা ভ্রমনকারী ও শিশুদেরকে এদের লক্ষ্যবস্তু করে থাকে। এছাড়াও এরা কবর থেকে লাশ চুরি করে থাকে।”

 

কালো যাদুর চক্করে পড়ে ব’লির পাঠা হতে হলো রাব্বিকে। গৌল জ্বীন তার কাছে এসে মাহিকে ভক্ষন করার কথাটা বলতেই আঁতকে ওঠে রাব্বি। সে কোনো ভাবেই পারবে না এমনটা করতে। ভেবেছিল গৌল জ্বীনকে অন্য একটা মেয়ের লা’শ দিয়ে দিবে। কিন্তু সেখানে যে নিজের বউকেই হ’ত্যা করে দিয়ে দিতে হবে সেটা কল্পনা করেনি। হায় আফসোস করতে করতে এক পর্যায়ে রাস্তা থেকে কিছুটা দূরে গিয়েই মাহির গলায় ছু’ড়ি বসিয়ে দেয় রাব্বি৷ যেই কাজটা করছে সেখান থেকে পেছনে যাওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব না। এর পরিনতিও খুব খারাপই হবে। যদিও কম খারাপ হয়নি রাব্বির সাথে। 

 

“তবে নিউজটা সত্যি, হ’ত্যা সত্যি। বৃদ্ধ লোকটার মাহিকে দেখাটা সত্যি। তাহলে মাহি বেঁচে আছে কিভাবে? আচ্ছা বৃদ্ধ লোকটা বলেছিল সে অপেক্ষা করবে লা’শ নিয়ে। তাহলে সে কি জানতো মাহি মা’রা যায়নি? সে অবশ্যই জানতো লা’শের জন্য তাকে খুঁজতে হবে আমাকে।” এসব ভাবতে ভাবতে মাহির দিকে তাকাচ্ছে রাব্বি। 

 

রাব্বি মনে মনে কিছুটা খুশি হলো মাহিকে জীবিত দেখে। মাহিকে আলতো করে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু দিয়ে ব্যাগ এবং বক্সটা হাতে নিয়ে বেরিয়ে গেলো। মাহির ঠোঁটে ফুটে উঠলো রহস্যময় হাসি। সোজা চলে গেলো বৃদ্ধ লোকটা যেখানে ছিল সেখানে। 

এখানে বসেই মাহির শ’রীরটা টুকরো টুকরো করেছিল রাব্বি। পুরোটা জায়গা জুড়ে র’ক্ত মেখে আছে। হ্যাঁ র’ক্তটাও টাটকা, তাহলে মাহি বেঁচে আছে কিভাবে?

 

রাব্বিকে এদিক ওদিক তাকাতে দেখে বৃদ্ধ লোকটা হাঁক ছেড়ে বললো “কি হে ছোকড়া, ডাক পড়লো তো আমার? বলেছিলাম না?” একটু আগেই বৃদ্ধ লোকটার কথা অন্যরকম ছিল। বেশ সম্মান দিয়েই কথা বলেছিল রাব্বির সাথে। এখন হুট করেই চেঞ্জ হয়ে গেলো। এটা নিয়ে অবশ্য রাব্বি মাথা ঘামালো না। তার এখন সবথেকে জরুরী একটা লা’শ। গৌল জ্বীনকে না দিতে পারলে এর ফল খারাপ হবে।

 

বৃদ্ধ লোকটার কাছে গিয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে হাত দিয়ে কপালের ঘাম মুছে বৃদ্ধ লোকটাকে জিজ্ঞেস করলো “আপনি আগে থেকেই জানতেন তাইনা যে আমার স্ত্রী মা’রা যায় নি।” বৃদ্ধ লোকটা জবাব দিলো না, বিনিময়ে মুচকি হাসি দিলো। রাব্বি ফের লোকটাকে বললো “যেই লা’শটা আপনি এনেছিলেন কাঁধে করে সেটা কোথায়? আমাকে দিন আর বলুন বিনিময়ে আপনি কি চান?” এবার বৃদ্ধ লোকটা বললেন “জ্বী আমি আগে থেকেই বুঝেছিলাম। আপনি কালো যাদু করেন ঠিকই, কিন্তু কালো যাদু সম্পর্কে আপনার জ্ঞান নিতান্তই কম। আপনাকে অনেক চর্চা করতে হবে মিস্টার রাব্বি। শুনুন যারা কালো যাদু করে, যারা এক্সপার্ট তাদের কালো যাদুকর বলা হয়। এদের দুটো সত্তা থাকে। কেউ এটা ইচ্ছে করলেই প্রকাশ করতে পারে। আপনি আপনার স্ত্রীর একটি সত্তাকে হ’ত্যা করেছেন মাত্র।” (এটা একটি ভ্রান্ত ধারনা, কাল্পনিক কথা মাত্র) 

 

রাব্বি চমকে যায়, তাহলে কি মাহিও কালো যাদু করে? কই রাব্বিতো কখনোই এমন কিছু দেখেনি। নির্ঘাত লোকটা পা’গল টাগল কিছু হবে। লোকটার কথায় পাত্তা না দিয়ে রাব্বি লোকটার থেকে লা’শ নিয়ে হেঁটে চললো। পেছনো ফিরে জিজ্ঞেস করলো “আপনাকে তো ফাঁ’সি দেওয়া হয়েছিল। তাহলে এখন আপনি এখানে দাঁড়িয়ে আছেন কিভাবে?” লোকটা বাঁকা হেসে জবাব দিলো “প্রথম সত্তা!” 

 

চলবে?…

 

কালো যাদু সিজন ১ এর সাথে এই গল্পের কোনো মিল নেই। গল্পে কিছু কাল্পনিক বিষয়বস্তু যোগ করা হয়েছে এবং অনেক সত্যি তথ্য দেওয়া হয়েছে। সাড়া পেলে নেক্সট পর্ব দিবো নাহলে দিবো না। 

হ্যাপি রিডিং!

 

#গল্প_কালো_যাদু (২)

#Writer_Mst_Moni 

#Part_02

“আপনাকে তো ফাঁ’সি দেওয়া হয়েছিল। তাহলে এখন আপনি এখানে দাঁড়িয়ে আছেন কিভাবে?” লোকটা বাঁকা হেসে জবাব দিলো “প্রথম সত্তা!” 

 

রাব্বি লা’শ নিয়ে সোজা গৌল জ্বীনের কাছে নিয়ে যায়। রাব্বি অপরাধ ভঙ্গিতে বসে আছে। সামনেই ক্ষুধার্ত শ’কুনের মতো লা’শটা ছিড়ে খাচ্ছে গৌল জ্বীন। লা’শটা অনেক দিন আগের পুরোনো হওয়ায় খেয়ে তেমন স্বাদ পেলো না। প্রথম প্রথম লা’শ খাওয়ার ব্যাপারটা খুব ঘৃ’ন্য মনে হলেও পরিস্থিতির সাথে সাথে এখন সব সহ্য করে নিয়েছে রাব্বি। 

 

লা’শটা খাওয়া শেষ হলে একটা চেয়ার টেনে রাব্বির সামনে পায়ের উপর পা তুলে বসলো জ্বীন। দেখে স্বাভাবিক শান্ত মনে হলেও একদমই স্বাভাবিক ছিল না। সে চেয়েছিল রাব্বির বউয়ের তাজা র’ক্ত মাংস খেতে। কিন্তু তা আর হলো কই। রাব্বির প্রতি ক্ষো’ভ নিয়ে ক্রু’দ্ধ চোখে তাকালো সে। রাব্বির এই মুহুর্তে ভয় লাগলেও ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে কথা চালিয়ে গেলো। কিন্তু গৌল জ্বীন একটুও খুশি হলো না। মাহির লা’শ কেন আনেনি সেটা নিয়ে জবাবও চাইলো কয়েকবার। রাব্বি নিরব, তার বলার ভাষা নেই। সেও তো কম চেষ্টা করেনি। বউকে খু’নও করতে হয়েছিল কালো যাদুর জন্য। বউ কিভাবে বেঁচে গেলো মাথায় ঢুকছে না তার। এখন এতে তার দোষ টা কোথায়?

 

গৌল জ্বীনকে পরবর্তীতে রাব্বির বউয়ের লা’শ উপহার দেওয়ার কথা বলে কোনোভাবে জায়গাটা থেকে বের হলো রাব্বি। কয়েকটা প্রশ্ন তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। রাত বেশি হওয়ায় রাস্তায় তেমন জনমানব নেই। তাই হাতে থাকা বক্সটা রাস্তার পাশে গিয়ে খুললো রাব্বি। খোলার সাথে সাথে চমকে গেলো সে৷ মাহির কা’টা টুকরো করা লা’শটা এখনো তার কাছেই আছে। ব্যাগ থেকে কা’টা মাথাটা বের করে আবারো একবার চেক করলো। হুট করেই মনে হলো কা’টা মাথাটা কথা বলে উঠলো। এদিক ওদিক তাকিয়ে জিহ্বা দিয়ে কয়েকবার ঠোঁট ভিজিয়ে মাথাটার একদম কাছে গিয়ে আবারো চেক করলো। হ্যাঁ, মাহিরই কন্ঠ। মাহি কথা বলছে। মাহি স্পষ্ট ভাবে বলছে “লা’শটা কতক্ষণ এভাবে রাখবে রাব্বি? কবর দিবানা?”

 

রাব্বি দূরে ছিটকে পড়লো। মৃ’ত মানুষ কথা বলছে, তাও নিজেকে কবর দেয়া নিয়ে? নাহ্, এই রহস্যের সমাধান করতেই হবে। এই ভেবেই সোজা বাড়ির পথে রওনা দিলো রাব্বি। এই বারেও দরজায় নক করার আগেই দরজা খুলে দিলো মাহি। 

এবার মাহির দিকে না তাকিয়েই রাব্বি ভেতরে গিয়ে বক্সটা পাশে রেখে বললো “তুমি ম’রলে না কেন মাহি?” মাহি পায়ের উপর পা তুলে বললো “কি ভেবেছো তুমি রাব্বি? আমার সাথে বেঈমানী করবা নিজের স্বার্থে আর আমি কিছু বুঝতেও পারবো না? ছেড়ে দিবো তোমাকে? তোমার আগেই খোঁজ করার উচিৎ ছিল রাব্বি। কি ভুলটা করেছো তুমি, মাশুল তো তোমাকে দিতেই হবে।” রাব্বি থতমত খেয়ে জিজ্ঞেস করলো “তুমি কে?” মাহি নিজের রুমে যেতে যেতে বললো “যাও ঘুমিয়ে পড়ো, আগামীকাল তোমার কারো সাথে দেখা করার কথা না? কালো যাদু সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান লাভ করতে হবে তো তোমাকে। নিজের স্বার্থ হাসিল করতে। তখনি জানতে পারবা আমি কে।” 

 

রাব্বি চমকে যায়, এসব কথা সে কাউকে বলেনি। তাহলে মাহি জানলোই বা কিভাবে? রাব্বি কিছু না বলেই ঘুমিয়ে যায়। সকাল হতে বেশি দেরি নেই। গতরাতের মাহির বলা কথাগুলো মাথা থেকে বেরিয়ে যায়। আজকে নিজের শক্তি পূর্ন করবে বলে কোনোদিকেই খেয়াল নেই তার।  

সকালে বের হতে গিয়ে দেখলো রাতে রেখে যাওয়া লা’শের বক্সটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে মাহি। মাহির পাশে গিয়ে ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই মাহি অপ্রস্তুত হয়ে বললো “দেখছিলাম ভেতরে কি আছে?” রাব্বি আবারও ভ্রু কুঁচকে বললো “ভেতরে তো তুমি আছো, এই নেও গত জন্মদিনে যেই আংটি দিয়েছিলাম সেটা।” মাহি নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে বললো “আংটি তো আমার হাতেই আছে। তুমি যাও যেখানে যাচ্ছিলে।” রাব্বি মুখ বাকিয়ে চলে গেলো। 

 

অন্ধকার একটা রুমে বসে আছে রাব্বি। সেই কখন থেকে অপেক্ষা করছে। কিন্তু অপেক্ষার অবসান হচ্ছে না। শেষে রুমের ভেতর একজন মহিলা প্রবেশ করলো ধীরগতিতে। রুম অন্ধকার থাকায় মুখটা দেখতে পারলো না রাব্বি। 

মহিলাটি ভেতরে ঢুকে ইশারা করলো রাব্বি ছাড়া বাকি সবাই যেন বাইরে বেরিয়ে যায়। মহিলাটির ইশারা বুঝে সমস্ত জ্বীনেরা বাইরে চলে যায়। পুরো রুমে মহিলাটির ভারি দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আর কিছু টের পাওয়া যাচ্ছে না। রাব্বি মহিলাকে উদ্দেশ্য করে জানালো ‘শুভ সন্ধ্যা।’ মহিলাটি প্রতুত্তর দিতেই রাব্বির বুকটা ধক করে উঠলো। প্রচন্ড পরিমানে দেখতে ইচ্ছে করলো সামনে থাকা মহিলাটি কে। নিজের ইচ্ছেকে বাক্সবন্দি করে নিজের কাজে মনোনিবেশ করলো রাব্বি। 

 

মহিলাটি হেঁসে বললো “ইন্টারেস্টিং মি. রাব্বি, আমাকে দেখার ইচ্ছে জাগছে না আপনার?” রাব্বি মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানিয়ে বললো “হ্যাঁ জাগছে। কিন্তু আমি শুধুই আমার কাজ নিয়ে ভাবতে চাই। শুধুই কাজ!” মহিলাটি ফট করে জবাব দিলো “আমি আপনাকে কাজ শিখাবোনা মি. রাব্বি। কোনো বেঈমানকে আমি কাজ শেখাই না। আমার নিয়মে কোনো বেঈমানের অস্তিত্ব নেই।” রাব্বি চোখ তুলে তাকালো এবং বললো “মানে কি? আপনার এই কাজের জন্য আমি কতোদিন অপেক্ষা করেছি আপনার আইডিয়া আছে? আমি বেঈমানী করেছি, সেটা নিজের লোকদের সাথে। আপনার সাথে তো নয়, তাহলে কেন আপনি শেখাতে পারবেন না? আমি বেঈমানী করেছি না করেছি সেটা ব্যক্তিগত বিষয়।”

মহিলাটি রেগে গিয়ে দাঁড়িয়ে বললো “স্টপ ইট, নিজের লোক? নিজের লোক হলে এইভাবে বেঈমানী করতে পারতেন আপনি? আপনি ভুলে যাবেন না কার সাথে কথা বলছেন আপনি। আপনার নিজের ব্যক্তিগত বিষয় হলেও গুনে গুনে আমি সেই প্রথম থেকে শেষ অব্দির বেঈমানীর হিসেব আমি নিবো। পারলে আমাকে বাঁধা দিয়ে দেখুন। আপনার সুখের সংসার, সুখের জীবন যদি আমি শেষ করতে না পারি তাহলে আমিও… যাই হোক বাদ দেন। আপনি আসতে পারেন এখন।” রাব্বি হতাশ হয়ে একরাশ চিন্তা নিয়ে বেরিয়ে আসলো। যেটা ভাবছে সেটা যেন কোনোভাবেই না হয়। মনে মনে জেদ নিয়ে ফিরে আসলো বাড়িতে। 

 

মাহিকে জোরে ডাক দিয়ে সোফায় গা এলিয়ে দিলো রাব্বি। মাহি খুন্তি হাতে দৌড়ে আসলো। কোমড়ে কাপড় গুজে বললো কি হয়েছে। মাহিকে পাশে বসিয়ে জিজ্ঞেস করলো “কালো যাদু সম্পর্কে তুমি কতোটুকু জানো?” মাহি ভ্রু কুঁচকে বললো “তোমার কি হয়েছে বলো তো? লোকমুখে যত কথা শুনেছি এবং এই সম্পর্কে যা পড়েছি ততটুকুই জানি। এছাড়া জানলাম তুমিও কালো যাদু করছো। তাও আমাকে মারতে পারলে না রাব্বি।” রাব্বি ফট করে চোখ তুলে বললো “তোমার মনে আছে? তাহলে বক্সে লা’শ কার? তুমি কিভাবে বেঁচে আছো এখনো?” মাহি একগাল হেঁসে বললো “রহস্যটা নাহয় রহস্যই থাকুক, কি বলো?”

 

চলবে?….

 

পর্ব ছোট হয়েছে দুঃখিত, আইডি রেস্ট্রিকটেড ছিল তাই গল্প দিতে পারিনি। পাশাপাশি পরিক্ষা চলছে তাই লিখতেও পারছি না। আর ২/১ পর্ব দিয়ে শেষ করবো।

 

#গল্প_কালো_যাদু (২)

#Writer_Mst_Moni

#Part_03

“তোমার মনে আছে? তাহলে বক্সে লা’শ কার? তুমি কিভাবে বেঁচে আছো এখনো?” মাহি একগাল হেঁসে বললো “রহস্যটা নাহয় রহস্যই থাকুক, কি বলো?”

 

রাব্বি কথা বাড়ালো না, মনে মনে জেদ তৈরি করলো এই রহস্যের সমাধান সে করবেই। পরের দিন রাব্বি কলেজে চলে যায়। প্রায় অনেক দিন কলেজে আসা হয়না। কলেজের টিচার লাইব্রেরিতে একা বসে আছে সে। হুট করে প্রথম বর্ষের একটা ছেলে এসে লম্বা একটা সালাম দিলো। রাব্বি অন্যমনস্ক থাকায় চমকে গিয়ে সামনে তাকিয়ে সালামের জবাব দিলো। ছেলেটা প্রতি বারের মতো রাব্বির পাশে এসে বললো “স্যার আমাকে কালো যাদু শেখাবেন না?” এবার রাব্বি আয়েশ করে বসে বললো “হ্যাঁ অবশ্যই, অনেকদিন তো তোমাকে না বললাম। তারপর ভেবে দেখলাম তোমার কথাটা আসলে আমার শোনা উচিত। তবে শর্ত আছে আমার, মানতে পারলে অবশ্যই শেখাবো।” ছেলেটা উৎফুল্ল হয়ে বললো “স্যার আমি যে কোনো শর্ত মানতে রাজি আছি। আপনি শুধু বলুন কি করতে হবে।”

রাব্বি মাথা দুলিয়ে বললো “তেমন কিছুই না, আমার সাথে এক জায়গায় তোমাকে যেতে হবে। আমরা সেখানেই কালো যাদু শিখতে যাবো।”

 

ছেলেটার সাথে দিন তারিখ ঠিক করে ক্লাস নিতে চলে যায় রাব্বি। ছেলেটা কোনোভাবে জেনে গেছে রাব্বি কালো যাদু করে। যতটুকু জ্ঞান আছে ছেলেটার তাতে এইটুকু বুঝতে পারছে কালো যাদুর মাধ্যমে তার পছন্দের মানুষকে সে নিজের কাছে আনতে পারবে। প্রথমে রাব্বি ভয় পেয়ে ভেবেছিল ছেলেটাকে মে’রেই ফেলবে। কিন্তু দেখলো ছেলেটা রাব্বির বিষয়ে কাউকে কিছু বলছে না। তাই বার বার ছেলেটার কালো যাদু শেখার বিষয়টা এরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু মানুষ স্বার্থপর। ছেলেটা এই মুহুর্তে রাব্বিকে বেশ সাহায্য করতে পারবে। এটা ভেবেই রাব্বি রাজি হয়ে গেছে। 

 

রাব্বি বাসায় এসে সব প্যাকিং করে নিলো। মাহির প্রশ্নের কাছে রাব্বি বরাবরই দুর্বল। তাই যথাসম্ভব চেষ্টা করলো মাহিকে এড়িয়ে চলার। কিন্তু রাব্বিকে অবাক করে দিয়ে মাহি কোনো ধরনের প্রশ্নই করলো না। অবাক হলেও মনে মনে কিছুটা খুশি হয় রাব্বি। সেদিন সন্ধ্যাবেলাই ব্যাগপত্র গুছিয়ে বেরিয়ে গেলো রাব্বি। স্টেশন থেকে কলেজের ছেলেটাকে নিয়ে রওনা দিলো। 

 

ভারতের আসামের মায়োঙ্গে এমন একটি গ্রাম আছে যেখানে এখনো প্রতিটি ঘরে ঘরে কালো যাদু চর্চা হয়। এই গ্রামটিকে কালো যাদুর ভীত বলা হয়। ধারনা করা হয় বিশ্বে কালো যাদুর সূত্রপাত ঘটেছিল এই গ্রাম থেকেই। বর্তমানে স্থানটি পর্যটনের স্থান হলেও নিয়মিত ভাবে কালো যাদুর চর্চা হচ্ছে। স্থানীয়দের মতে মায়া শব্দ থেকে এই গ্রামের নামকরন করা হয়। যার অর্থ বিভ্রম। কেউ জানেনা এখানে কিভাবে কালো যাদুর সূত্রপাত ঘটে। এই গ্রামের মানুষজন কালো যাদু দিয়ে ক্ষ’তির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ও করতে পারে। 

 

রাব্বি মূলত নেট ঘেটে এই গ্রামের সন্ধান পেয়েই সেই গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। লক্ষ্য হলো কালো যাদু শিখে আসা। তবে তার ভাবনায় জল ঢেলে দিলো মাহি নিজেই। রাব্বির পৌঁছানোর আগেই সেখানে মাহি পৌঁছে গেলো। এবং শেষে দেখা গেলো মাহি নিজেই সেখানের প্রধান। 

 

রাব্বি হতাশ হয়ে বাড়িতেই ফিরে আসলো। কোনো কুল কিনারা খুঁজে পেলো না সে। রাব্বি এক প্রকার অসহ্য হয়েই মাহিকে নির্যা’তন শুরু করলো। ভেবেছিল তাহলেই মাহি সবটা বলে দিবে। কিন্তু তেমনটা হলো না। মাহির হাত পা বাঁধার আগেই মাহি নিজের সত্তায় ফিরে আসলো। রাব্বির চিবুক ধরে বললো “তোমার টিকিট কা’টা হয়ে গেছে। আজরাইল এসে চুক্তি করে গেছে আমার সাথে। তৈরি হও প্রিয়তম।”

 

চলবে?..

 

এক্সাম তাই গল্প লিখতে পারছি না, দুঃখিত। আর এক পর্ব আছে, তাহলেই সমাপ্ত।

 

#গল্প_কালো_যাদু (২)

#Writer_Mst_Moni

#Part_04 (শেষ পর্ব)

“তোমার টিকিট কা’টা হয়ে গেছে। আজরাইল এসে চুক্তি করে গেছে আমার সাথে। তৈরি হও প্রিয়তম।”

কন্ঠটা রাব্বির বেশ চেনা চেনা লাগলো। বুঝতে পারলো ওইদিন অন্ধকার রুমের সেই অচেনা কন্ঠস্বর’ই এটা। তাহলে রাব্বি যেটা ভেবেছিল সেটাই কি ঠিক? কে এই মেয়েটা। বড্ড ভুল হয়ে গেছে, ভালোভাবে খোঁজ নেয়ার দরকার ছিল মাহি সম্পর্কে। এগুলো ভাবতে ভাবতেই নিজের মৃ’ত্যুকে নিজের সামনে যেন দেখতে পায় রাব্বি। কিন্তু পুরো সত্যিটা না জেনে মা’রা গেলে আফসোস তো আফসোসই থেকে যাবে। তাই শেষ বারের মতো চেষ্টা করলো পুরো সত্যিটা জানার জন্য। মাহি কে? মাহি কেনই বা রাব্বিকে খু’ন করতে চায়। সব প্রশ্নের উত্তর তার আজ চাই। তাই নিজেকে যতটা সম্ভব শক্ত করার চেষ্টা করে মাহিকে প্রশ্ন করলো “তুমি কে? আমাকে কেন মা’রতে চাইছো? কিসের রাগ আমার প্রতি তোমার? তুমি তো আমাকে ভালোবাসো বলো? তাহলে কেন করছো এসব? কখনো তো তোমাকে কষ্ট দেইনি বলো।”

রাব্বির কথায় মাহির চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়লো, নিজেকে সামলে বললো “চেনা চেনা লাগছে? যেটা ভাবছো সেটাই আমি। দীর্ঘ কয়েক বছর আমার সাথে প্রেম করেছো। বেকার ছিলে, কোনো বাবা-মা’ই চাইবে না তার আদরের মেয়েকে কষ্টে দেখতে। তাওতো আমি তোমাকে ছেড়ে যাইনি বলো। আমি বলেছিলাম আমার বাবা-মা’কে রাজি করাবো আমি। তুমি ভরসা রাখো। কিন্তু তুমি আমার নেশায় এতই মত্ত ছিলে যে আমার বাবা-মা’কে মা’রার জন্য কালো যাদু শিখলে। যেন কেউ বুঝতে না পারে কে মে’রেছে। যেন তুমি কোনো ভাবেই না ফেঁ’সে যাও। কালো যাদু শিখে আমার বাবা-মা ভাইকে কালো যাদু করলে। ধুঁকে ধুঁকে ম’রে গেলো আমার চোখের সামনে দিনের পর দিন। মেয়ে হয়ে আমি কিছুই করতে পারিনি। অথচ আমার বাবা-মা ছিল নির্দোষ। তুমি জানতেই পারলে না তোমার আর আমার সম্পর্কটা মেনেই নিয়েছিল। কিন্তু বিয়ে দেওয়ার সুযোগটা পেলেন না। আমি তখনও জানতাম না আমার বাবা-মা কেন মা’রা গেছেন। যখন তাদের মৃ’ত্যুর খবর তোমাকে দিতে তোমার বাড়িতে গেলাম তখন দেখলাম আমার বাবা-মায়ের ছবি তোমার ঘরে। পুতুলের মাধ্যমে যাদু করেছিলে। সেদিন তোমার প্রতি ঘৃ’নায় চলে গেলাম কাকার কাছে। অথচ তুমি খুঁজলে না। কারন তুমি ভেবেছিলে তুমি শক্তিমান হয়ে গেছো। প্রতি’শোধ নেওয়ার জন্য নিজেকে পরিবর্তন করলাম, সার্জারী করলাম। তোমাকে বিয়ে করলাম, অথচ তুমি নাকি সেই আমিটাকে ভালোবাসতে। যার জন্য আমার বাবা’মাকে মে’রে দিলে। তোমার ভালোবাসা দেখে ভেবেছিলাম তোমাকে মা’রবো না। কিন্তু তুমি কালো যাদুর জন্য আবারো বেঈমানী করলে। তাই তোমাকে আর রাখতে পারলাম না। ঠিক যেভাবে আব্বু আম্মুকে মে’রেছো ঠিক তেমনি ম’রতে হবে তোমাকে।”

 

রাব্বিকে বেঁ’ধে রেখে মাহি চলে যায়। নিজের মধ্যে চাপা কষ্টগুলো আজ যেন সব বেরিয়ে আসতে চাইছে। এতো বছর ক্ষো’ভ গুলো জমা রেখে নাটক করে গেছে রাব্বির সাথে। মাহি ধ্যানে বসে একটা পুতুল নিয়ে তার শরীরে রাব্বির চুল সহ নখ বেঁ’ধে দিলো। 

 

দীর্ঘ ১৫ দিনে রাব্বির অবস্থা কাহিল হয়ে যায়। ১৫ টা দিন এভাবে বাঁ’ধা অবস্থায় ছিল। নিজে কালো যাদু জানা সত্বেও মাহির বি’রুদ্ধে কিছুই করতে পারলো না। কলেজের সেই ছাত্রটা রাব্বিকে খুঁজতে এসে রাব্বিকে বাঁধা অবস্থায় দেখে রাব্বির বাঁধন খুলে ফেললো। রাব্বি ছেলেটাকে ধন্যবাদ দিয়ে মাহিকে শেষ করতে গেলো। 

 

মাহিকে দেখলো মাহি চেয়ারে বসা। কিছু একটা করছে। রাব্বি বড় করে নিশ্বাস নিয়ে হাতের ছু’ড়িটা গলায় বসিয়ে দিলো মাহির। মাহি তার হাতে থাকা সুই টা পুতুলটার মাথায় বসিয়ে দিলো। রাব্বি কোনো কথা না বলেই শরীরটা এলিয়ে দিলো ফ্লোরে। চোখ থেকে বেরিয়ে এলো পানি। চোখ যেন মৃ’ত্যু কষ্টে বেরিয়ে আসতে চাইলো। বুঝতে পারলো কালো যাদুর পরিনতি আসলে কি। মাহি ছটফট করতে করতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলো। 

 

আড়াল থেকে বেড়িয়ে আসলো সেই ছাত্র। রহস্যময় হাসি দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলো। ছাত্রটির সেই অচেনা প্রেমিকাই ছিল মাহি। যাকে সে প্রথম দেখায়ই এক পাক্ষিক ভালোবেসেছিল। হয়তো এই ছাত্রর উপর রিভেঞ্জ নিতে চলে আসবে অন্য কোনো এক সত্তা। 

 

পৃথিবীতে কালো যাদু ছিল, থাকবে। এর কোনো শেষ নেই। তবে যদি কেউ ইচ্ছেকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে কালো যাদুতে জড়িয়ে যায় তাহলে তার ভয়ানক পরিনতি জীবনেও পিছু ছাড়বে না। এভাবেই শেষ হবে কালো যাদুর অধ্যায়।

 

—————-সমাপ্ত—————–

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।