ডাবল জামাই 

 

 

১ম পর্ব

 

কখনো ভাবিনি এক্স বফ এর কাছে এভাবে কিডন্যাপ হবো,তাও আবার একজন না দুইজন এক্স বফ এর কাছে

,কি সাংঘাতিক বিষয়,ভাবা যায় এগ্লা,অব্শ্য সব দোষ আমারি,একসাথে দুই তিনজন এর সাথে রিলেশন করতাছিলাম,কে জানতো এরা দুজন বন্ধু,শুধু বন্ধু না এলাকার বড় মস্তান ও বটে,আমার সামনে ভেজা বেড়ালের মতো থাকতো,শালা গো মনে এই আছিলো কে জানতো,ওরে মৌ তুই আজ শেষ,একটা বন্ধ ঘরে বসে কাদতে কাঁদতে মৌ এসব বলছিলো,বরাবরই দস্যি টাইপের মেয়ে মৌ,হোস্টেলে থেকে পড়াশুনা করছে,এবার সেকেন্ড ইয়ারে,প্রেম করা ডেট তার কাছে নেশার মতে,একমাস কোন ছেলের সাথে রিলেশনে গেলে পরের মাসেই ব্রেকাপ করে দেয়,তার আর ভালো লাগে না,পরে অন্য ছেলে,কিন্তু হ্যাঁ এটা সত্যি ভুল করেও কারো সাথে রুম ডেট করে নাই,টাইম পাস করার জন্যই মুলত এই প্রেম ট্রেমের মতো ফালতু জিনিসে নিজেকে জরিয়ে ফেলছে,দুমাস আগে জয়ের সাথে রিলেশনে গেছিলো মৌ,একমাস দশদিনের মাথায় ব্রেকাপ,অবশ্য জয় বেচারা ছাড়তেই চাচ্ছিলো না,নামান অযুহাতে পিছু ছারাইছে,তার কিছুদিন পরেই রিলেশন শুরু করে ইমরানের সাথে,কিন্তু এই পোলাডা ছিলো লুচু টাইপের,কথায় কথায় খালি গায়ে হাত দিতে চাইতো,একদিন তো জোর কইরা ঠোঁটে ,ছি ছি ঠোঁট টা আবার ভালো করে মুছে নিলো মৌ,এই জন্য ইমরানের সাথেও কাটাকাটি করে ফেলছিলো, হঠাৎ দরজা খুলে ভেতরে আসলো দুজন..

কি গো সুন্দরি মন খারাপ(জয়)

আরে দোস্ত দুই দুইটা বফ থাকতে মন খারাপ ক্যান হইবো ক(ইমরান)

তারপর দুজনেই হো হো করে হেসে উঠলো.

ওরে বান্দর পোলারা মৌ রে তো চিনস না,একবার বাহির হইতে দে খালি,পোলাপাইন দিয়া হাত পা ভাঙামু,

গুন্ডাগিরি ছুটাই দিমু(মনে মনে বললো মৌ)

হেই বেইবি কি ভাবছো গো এতো,এত কিছু ভেবে লাভ নাই,আমরা তোমাকে আর ছাড়ছিনা(ইমরান)

ছাড়ছো না মানে কি?কি করতে চাও(মৌ)

করতে চাই তো অনেক কিছুই(শয়তান মার্কা হাসি দিয়ে বললো জয়)

ম..মানে.??কি ক..করবা(মৌ)

কুল বেইবি কুল.ভয় পেও না,তোমাকে আমরা এখন বিয়ে করবো..

ঠিক বুঝলাম না,আমরা মানে?কে কে বিয়া করবো আমারে,?

এই যে তোমার দুজন এক্স বফ(জয়)

লা হাউলা ওলা কুওতা ইল্লাহ্ বিল্লাহ

,হায় হায় পাগল হইছো তোমরা,এক মেয়েরে কেউ দুজন বিয়া করে.!নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক(মৌ)

এতো কিছু শুনতে বুঝতে চাই না,তুমি রাজি না থাকলেও বিয়ে হইবো(জয়)

ওরে বদ পোলা তোগো মনে মনে এই ছিলো রে,ওরে আমার কি হবে রে ,ওরে আমাকে কেউ মেরে ফেলো রে, ওরে নিম্মি তুই কই রে ,ওরে আব্বু আম্মুর কি হবে রে,ওরে দুই জামাই নিয়া ক্যামনে কি করমু রে,ওরে তোরা আমারে ছাইড়া দে রে,অ্যা অ্যা অ্যা. .

আহ্ এই মেয়ে চুপ করো,কান খেয়ে ফেলছে,(জয়)

না রে,ওরে নিম্মি রে তুই কই রে,ওরে নিম্মি তোর বান্ধবি দেখ কি চিপায় পড়ছে রে,ওরে নিম্মি গো,তুই আয়,ওরে নিম্মি,ওই তোমরা আমার নিম্মি রে আইনা দাও রে,

উফ,এই চুপ করবা নাকি আরেকদিনের মতো ঠোঁটে..(ইমরান)

মৌ ওমনি ঠোঁটে হাত দিয়ে চুপ করে বললো.ভাইয়া আমি আফনেগো ছোট বোনের মতো,আমারে ছাইরা দেন,আমার বান্ধবি ডা আছে না নিম্মি,ও আমারে মেলা খুজতাসে মনে অয়,আমি কথা দিলাম আর প্রেম করমু না,আমি যাই কেমন,এক পা দু পা করে দরজার সামনে যেতেই ইমরান পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো,

কই যাও সুইটহার্ট,বিয়ে তো করবোই করবো,আর তোমার নিম্মি কেউ এনে দিবো,নো টেনশান,

ছাড়েন ভাই,ও ভাই আমারে এভাবে ধইরেন না,আমার ফিউচার জামাইডার লগে বেইমানি করা হইতাসে,আপনারা এমন করতে পারেন না,অ্যা অ্যা অ্যা

(মৌ)

হা হা হা হা,তোমার জামাই আমরাই হবো গো মৌটুসি,ওইটুকু জড়াই ধরতেই পারে(জয়)

ছি ছি,কি বজ্জাত পোলা,একজন বিয়া করতে চাইলে তাও হয়,দুইজন বিয়া করবো ডা ক্যামনে,ও আল্লাহ ডাবল জামাই নিয়া রাস্তায় ক্যামনে বাহির হমু,ওই মা আব্বুরে কি কি কমু,আম্মু তো ঘরেই ঢুকতে দিবো না,নিম্মির অবশ্য ভালো হইবো,দুইডা দুলাভাই পাইবো,কিন্তু দুই জামাই নিয়া ঘুমামু কিমনে,আমারে কি মাঝখানে নিয়া ঘুমাবো,ও মা মাঝখানে থাকলে তো আমার ঘুম লাগে না চোখে,আচ্ছা এই শয়তান জামাই দুইডা যদি হাত পা তুইলা দেয় আমার উপর,আমার যে শরীর,নিজেই চলতে পারি না,বাতাসে উইরা যাওয়ার উপক্রম,এই হাতির মতো মানুষের হাত পায়ের ভারে আমি না আবার গইলা যাই,

ছি ছি কি ভাবি না ভাবি!আমি এদের বিয়াই করমু না(মনে মনে বলছে মৌ)

এই যে ম্যাম,কি ভাবেন এতো(তুড়ি বাজিয়ে জয় বললো)

পরে ইমরান মৌকে ছেড়ে দিয়ে বললো চল দোস্ত ওর প্রান ভোমরা,ওর প্রিয় বান্ধবি নিম্মি রেও কিডন্যাপ কইরা আনি,জোস হইবো,এমনিতেও বিয়েতে কেও নাই,ওরে আনলে তাও একজন হইবো,

হ দোস্ত,ঠিক কইছস্,হাত মেলালো দুজন

এদিকে মৌ এদের কান্ড কারখানা দেখে আকাশে উড়তাসে,কি বলবে বুঝতেছে না,তার মানে এরা এখন নিম্মিরে কিডন্যাপ করতে যাইবো,এহন কিতা করমু,হায় হায় সত্যি সত্যি তো যাবো দেহি

 

 

 

 

 

 

 

 

২য় পর্ব

 

 

চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে মৌ। এই মুহুর্তে কিছুই তো আর হাতে নাই,মৌ এর বাচ্চা মৌ,না থুক্কু আমার বাচ্চা তো এখনো হয় নাই,খালি মৌ হইবো,ওরে মৌ এ কি করলি রে,ক্যান এসব প্রেম করতে গেলি, এখন বুঝ মজা, ছোট বেলায় দাদী বলতো জামাইরা নাকি অনেক জ্বালায় বউ গো, রাতে নাকি ঘুমাইতেই দেয় না,ওমা গো আমার যদি দুইডা জামাই হয় তাইলে আমি তো রাত সহ দিনেও ঘুমাইতে পারমু না,জামাই গো যদি বিক্রি করা যাইতো তাও একটা বিক্রি কইরা দিতাম,কিন্তু এ দুইডা তো কইলো আমারে ছাড়বই না,জয় তাও ভদ্র আছে,ইমরান তো অভদ্রের দশকাঠি,যখন প্রেম করতাম ওর লগে তখনি কইতো বিয়া কইরা নাকি এক রাতো ও আমারে ছাড়া ঘুমাবো না,আরো কত কি!! এইবার আর রক্ষা নাই রে তর মৌ,ইন্না নিল্লাহ্ হবি ই তুই,কিন্তু এখন তো ওরা নিম্মি রে কিডন্যাপ করতে গেলো,সত্যি সত্যি কি কিডন্যাপ করতে পারবো,উহ্ নিম্মি যে মার্কা বলদি,ওরে এক সেকেন্ডো লাগবো না আনতে,চশমাটা কাইড়া নিলেই শেষ,কানা মাইয়া.আমার লাইফে যে কয়জন রে মন দিয়া ভালোবাসি তারাই এমন আবুল মার্কা হয়,ধুর, এসব আাকাশ পাতাল ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লো মৌ. বেশ কিছুক্ষন পর আড়মোড়া হয়ে ঘুম ভাঙতেই দেখলো জয় আর ইমরান কাকে যেন পাটির মধ্যে পেঁচিয়ে এই রুমের দিকে আনতেসে,পোসমর্টাম করার পর যেমনে পেঁচাই লাশকে আনে,ঠিক ওমনেই, কি ব্যাপার ওরা তো গেছিলো নিম্মিরে কিডন্যাপ করতে,লাশ এর মতন কইরা কারে আনে,ওহ্ মাই গড,নিম্মি আবার মইরা গেলো নাতো ভয়ে, দৌড়ে বিছানা থেকে নেমে ওদের কাছে যায়,ওরা দুজন মৌ কে চুপ করতে বলে,নিম্মি কে পাটি থেকে নামিয়ে বিছানায় শোয়ায়, নাও মৌটুসি তোমার বান্ধবিরে এনে দিলাম,এবার খুশি তো(জয়) কাছে গিয়ে দেখলাম হারামিটা ঘুমাচ্ছে,থ্যাংকগড,আমি ভাবছিলাম মরে টরে গেলো নাকি ভয়ে,নাহ্ মরে নাই চশমাটাও আছে,এইডা মানুষ না গন্ডার রে আল্লাহ দুইজন পুরুষ মানুষ ওরে ঘুমের মধ্যে কিডন্যাপ করে পাটিতে পেচিয়ে এতো দুর নিয়ে আসলো আর এই বান্দার হুশ ই হইলো না,এমনি এমনি কি আর ওরে প্রতিবন্ধী কইরা ডাকি,ইচ্ছা করতাসে দেই দুইটা লাগায়া. দোস্ত কাজ তো কমপ্লিট,এখন আর কি করতে হবে?(ইমরান) আমার মাথা আর তর মুন্ডু কর(মনে মনে বললো মৌ) আরে দোস্তো কাজ অনেক বাকি আছে,বিয়ার বাজার করতে হইবো না(জয়) যাহ্ শালা!তাইতো,চল দেরি না করে বেরিয়ে পরি,এই দুইটা থাক এখানে,(ইমরান) হ্যাঁ,তাই চল.কিন্তু? কিসের কিন্তু? এরা দুজন আবার কোন ছক কষবে নাতো(জয়) আরে ধুর,দরজা জানালা সব বন্ধ,কি করবো,আর একটা তো ঘুমাইতেসে,কিডন্যাপ করার সময় যে মেয়ে সজাগ হয় নাই,আই এম সিউর,দু তিন ঘন্টা ডাকলেও এ উঠতো না,দেখস না ক্যামনে ঘুমাইছে,মনে হয় মইরা গেছে,চল তুই (ইমরান)

…বলছি যে ভাইয়ারা এমন করে কি হবে বলুন আর,আমাদের যেতে দিন না,আমাকে বিয়ে করে কি লাভ হবে বলুন,দেখুন না দেখুন আমি কেমন শুকায়া টুকায়া মইরা যাইতেসি,তার থেকে ভালো একটা মোটা সোটা মাইয়া দেইখা আপনেগর বিয়া দিয়া দিমু নি,আমি নিজেই(মৌ) ওই মাইয়া চুপ,আমগো তোমারেই দরকার,তুমি ছাড়া কাউরে বিয়া করতাম না বুঝলা,এই বলে ইমরান আর জয় একসাথে মৌ এর দিকে ফ্লাইং কিস ছুড়ে দরজা আটকিয়ে চলে গেলো.আল্লাহ এহনি ফ্লাইং কিস ছুড়লো দুজন একসাথে,তাইলে বাসর ঘরে কি !নাউযুবিল্লাহ্,বের হইতে পারলে বাচি..

কি তাজ্জব ব্যাপার হারামিটা এখনো উঠলো না, ওই উঠ,ওই নিম্মি উঠ.দেখ তুই কই?(মৌ) উম উম মৌ এরম করিস না,ইট্টু ঘুমুতে দে.(নিম্মি) ও মোর আল্লাহ,সারাজিবন নাহয় ঘুমাবি কিন্তু বইন এখন উঠ.দেখ আমাদের কতো বিপদ. বিবি বিপদ,একটু উঠে চশমা টা ঠিক করে নিলো নিম্মি.ঝাপসা ঝাপসা দেখা যাচ্ছে.এদিকে চোখে ঘুম,সব মিলিয়ে নিম্মি বলতে লাগলো,আমি কে?আমি কোথায়?আমার আব্বার নাম কি?মৌ রে মৌ আমার আম্মা কই?আমার……

ঠাস..একটা চড় বসিয়ে দিলো মৌ নিম্মির গালে, হ্যাঁ রে নিম্মি প্রতিবন্ধী এহন নিশ্চই তুর চৌদ্দ গোষ্ঠীর কথা মনে পড়ছে.নাকি আরেকটা চড় দিমু.(মৌ) অ্যা অ্যা অ্যা তুই আমালে মাল্লি..অ্যা অ্যা(নিম্মি) আহ্,এই চুপ কর!চুপ কর বলতাসি, অ্যাঁ অ্যাঁ অ্যাঁ ওরে বইন আল্লাহর দোহাই লাগে চুপ কর,আমরা কিডন্যাপ হইছি, কিডন্যাপ হয়ার কথা শুনে নিম্মি মৌ এর কাছে চলে আসে, ও মা কি কস,কিডন্যাপ হলাম কিভাবে,আমি তো ঘুমাইতেছিলাম রুমে,এখানে আসলাম কিভাবে?আর এটা কোন জায়গা? মৌ নিম্মি কে আগা থেকে গোড়া অবদি সব ঘটনা খুলে বললো. ওরে মা গো!!মৌ রে তোর জন্যে তাইলে আমারে কিডন্যাপ করছে,ওরে আল্লাহ আমার কি হইবো গো,আমার বুঝি এ জিবনে আর বাঁচা হইলো না গো,ওরে মৌ এইডা তুই কি কল্লি রে বইন.. আহ্ কান্না রাখ তো,এখন আমাদের খুজে বের করতে হবে?(মৌ) কি খুজবো(নিম্মি) আরে গাধী পালানোর রাস্তা. কিন্তু কিভাবে?(নিম্মি) তোরে মাইরা ফালায়া হারামজাদী.(মৌ)

কি আমি হারামজাদি!মৌ কুত্তি তোর জন্যে আইজকা আমি কিডন্যাপ হইছি,তোর নামে মামলা করমু দেহিস,খালি বাহির হই,(নিম্মি) আর একটা কথা কইলে তোর গলা টিপা মাইরা ফালামু,কই বিপদ থিকা উদ্ধারের পথ বার করবো,তা না উনি আছে আমার নামে মামলা নিয়া.(মৌ) তো কি কমু,এই নিয়া ৫৫টা প্রেম করলি,করলি তো করলি আমারেও এহন ডুবাইলি,কতো কইরা কইছি মৌ এতো ছেলেরে ছ্যাঁকা দিস না,এহন ক্যা,ভালা হইছে,(নিম্মি) ওই ছ্যাঁকা দিছি মানে কি হ্যাঁ?আমি এসব করি নাই,আর ৫৫-টা ছেলেরই এখন গফ আছে বুঝলি,আমি কি জানতাম এই লাস্ট দুইটার মনে এটা প্ল্যান,(মৌ) ওয়েট ওয়েট ওয়েট,কি প্ল্যান করছে ওরা.(নিম্মি) জয় আর ইমরান দুইজনি এক লগে আমারে বিয়া করবো রে(মৌ)কি করমু এহন হাহাহাহাহাহাহাহাহাহ

হাসোস ক্যা?(মৌ)

ভালা হইছে ডাবল জামাইয়ের ঠেলা বুঝবা,বিয়া যে কত্ত মজা যে করে সেই জানে,(নিম্মি) ওরে কুত্তি,তুই এমন করতাসস,যাহ্ তোর লগেও ব্রেকাপ,কেউ নাই আমার,(মন খারাপ করে বললো মৌ,ও জানে এই ডোজটাই নিম্মি কে দিতে হবে) আরে আরে কান্দিস না সোনা পাখি,এই বিয়া যে করেই হোক আমারা আটকাবোই,(নিম্মি) সত্যি তো? হ্যাঁ মৌটুসি সত্যি, মৌ নিম্মিকে জরাই ধরলো,মৌ জানে নিম্মি বোকা হইতে পারে,কিন্তু বুদ্ধি তে ও সেরা,কলিজা একটা.. ওই হইছে,ছাড় এখন?(নিম্মি) ছাড়ুম না,(মৌ) ওই যে তোর ডাবল জামাই আইলো, এ কথা শুনেই মৌ নিম্মি কে ছেড়ে লাফ দিয়ে উঠলো,কিন্তু চেয়ে দেখলো কেউ নেই,মানে নিম্মি ওকে বোকা বানাইছে,উকুনের বাচ্চা,ঢেড়স,করলার তিতা,আজকে আমি বিপদে পড়ছি দেইখা তুইও মজা নিতাছস,দারা আগে বের হই,পরে তোর ও মজা দেখামু,(মৌ) হাহাহাহ,,আগে তো বের হ, হমুই বের,দেখে নিস,দরকার পড়লে তোরে বিয়া দিমু ওদের কাছে কি??ওই ওরা তর বফ আমার না,নিজে পিরিতি করছো,আমি না, তুই আর আমি একি,আমি করলে তুই,তুই করলে আমি,(মৌ) তোর লগে আগেও পারি নাই,এখনো পারুম না(নিম্মি) লাগতে আসোস ক্যান? এনি ওয়েস,আচ্ছা নিম্মি ওরা হঠাৎ এই প্ল্যান করলো কেন,দুজনে একজন রেই বিয়া করবো,? হু.ভাবার বিষয়.(নিম্মি) আচ্ছা ওরা তো জানতো না আমি অনেক ছেলের সাথে টাইম পাস করি,(মৌ) ক্যামনে জানলো না,তুই যে ৫৫-টা প্রেম করছোস এইটা জয় ইমরান দুইজনেই জানে(নিম্মি)

কি বলিস?আমি তো বলি নাই কখনো? আরে সেদিন ক্যাম্পাস থেকে আসার সময় আমি আমার ডায়রিটা ফেলে এসেছিলাম লাইব্রেরীতে☺?(নিম্মি)

তো?(মৌ) ডায়রিটা জয় আর ইমরান পেয়ে একদির পর আমাকে ফেরত দিছে☺.(নিম্মি) ডায়রির সাথে আমার কানেকশন কি?(মৌ) আরে আমার ডায়রিতে তুই ছাড়া আর কে থাকবো?(নিম্মি) ওরে কুত্তি তার মানে আমি যে কয়টা প্রেম করতাম বা করছি সব তুই ডায়রিতে লিখে রাখতিস(মৌ) হ্যাঁ,কত ভালো কাজ করছি না,তর সব সৃতি জড়ো করে রেখছি(নিম্মি) ওরে আমার ভালো কাজের মানুষ রে,তোর জন্যেই আজকে আমার এমন অবস্থা,ডায়রি পড়ে ওরা ভাবছে,আমি এভাবে পোলাগো জিবন নষ্ট কইরা দি,তাই ওর দুইজন উইঠা পইরা আমার পিছে লাগছে,ওরে আল্লাহ গো,আজকে তোরে আমি মাইরা ফেলমু রে প্রতিবন্ধী (মৌ) মৌ এর কথা শুনে নিম্মি চশমাটা ঠিক করে উঠে ভোঁ দৌড়,জানে মৌ ধরতে পারলে আজকে রক্ষা নাই,এদিকে মৌ দৌড়ে ওরে ধরার চেষ্টা করছে. এমতাবস্থায় রুমে জয় ইমরান. ওরে মা দেখ দোস্ত,খুশির ঠেলায় দুই বান্ধবি ছোঁয়াছুয়ি খেলতাসে,ওরে গুলুগুলু টা(ইমরান) হ দোস্ত তাইতো দেখছি,যাক বাবা শেষে বিয়া টা ভালো ভাবেই হবে.(জয়) বিয়া মাই ফোট্,আমি তোগো বিয়া করুম না,মইরা গেলেও না,ওই যে নিম্মি রে কর.(মৌ) ও আল্লাহ গো চাচা গো,খালু গো,আমারে না,আমারে কেন বিয়া করবেন,মৌ আমার চাইতে ভালা ওরেই করেন.(নিম্মি) না, আমি ভালো না,জানোই তো আমি ৫৫-টা প্রেম করছি,নিম্মি একটাও করে নাই,ওরে করো প্লিজ(মৌ) চাচাগো,খালু গো ডাক্তার কইছে আমার বিয়াতে ফুলসজ্জার রাতে আমি জামাইরে গলা টিপা মাইরা ফালামু,আমাকে কইরেন না বিয়া(নিম্মি) না,এসব মিথ্যা,ও ঠিক ঠাক ই আছে,বিশ্বাস না হইলে যাছাই করে দেখো(মৌ) ওরে হারামি,এ তুই কি কস,ছিহ্,চাচারা বোঝার চেষ্টা করুন,আমি ঠিক নাই,আমারে ছাইড়া দেন,আমি যাইগা,যাইয়া আরো তিন জন রে পাঠাই দিমু ওরে বিয়া করতে,পাঁচ জামাইয়ের এক বউ,দ্রোপৌদি এর মতো হইবো,কি সুন্দর মানাবো আপনাগো(নিম্মি) হারামি তুই বান্ধবি নামের কলংক(মৌ) হ,তুই ও,কাটাকাটি(নিম্মি) আমি না তুই(মৌ) দুইজনেই(নিম্মি) না তুই একলাই(মৌ) না,দুজনেই(নিম্মি) না.তু… এই চুপ,উফ মাথাটা খেয়ে ফেললো পুরা,ইচ্ছা করতাসে বাড়ি দিয়া মাথা ফাটাই দেই.দারা তোদের আজকে কারোর রক্ষা নাই,লাফালাফি ছুটামু,(জয়) হুম,আজকে এদের দুজনকেই ঝালাই করতে হবে?(ইমরান) শোন ইমু তুই কাজি ডাইকা আন,আর আমি আমগো পাড়ার রাশেদ আর রবি কে ডাইকা আনি, জোস হইবো চারজন মিলা (জয়) ওদের কথা শুনে নিম্মি আর মৌ আকাশে না এবার পানির নিচ দিয়া চলাচল করতে লাগলো. কি হবে এবার? (পরের পর্বে জানতে পারবেন,এ প্রর্যন্ত বুকে ঢিপ ঢিপ নিয়ে সাথে থাকুন,আর হ্যাঁ গল্প কোনদিকে ঘুরবে ভাবেন,)

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

৩য় পর্ব

 

 

ভুল হয়ে গেছে,অনেক বড় ভুল করে ফেলছি রে নিম্মি!!আমি তো মরলাম মরলাম সাথে তোকেও রেহাই দিলাম না,সত্যি আমি বাজে(মৌ) আবার শুরু করলি.দোষ তোর একার না,কেন যে আমি ডায়রিটা লিখলাম,আর ভুল করে রেখে আসলাম,এই ভুলটা না করলে আজ এমন হতো না,বাদ দে সেসব কথা,আগে আমাদের এখান থেকে বের হতে হবে,যা দেখলাম ওরা এখন আমাদের ছাড়বেই না(নিম্মি) আমার মাথায় কিচ্ছু আসছে না,কি করবো(মৌ) এক মিনিট ওরা তো রাশেদ আর রবি কে নিতে গেলো তাইনা,তার মানে এটা দারাচ্ছে যে,জয় ইমরান তোকে বিয়ে করবে,রাশেদ রবি আমাকে(নিম্মি) হ্যাঁ,এটাই তো.ডাবল ডাবল(মৌ) দারা ওদের বিয়া করা ছাড়াবো(নিম্মি) কি করবি তুই(মৌ) দেখনা কি করি,চার জনের মাঝে এমন প্যাঁচ লাগাবো দেখবি(নিম্মি) কিভাবে?(মৌ) আগে আগে দেখো হোতাহে কেয়া,ওরা চলে পাতায় পাতায়,আর আমি চলি পাতার শিরায় উপশিরায়(নিম্মি) ডায়লগ পরে দে প্রতিবন্ধী উফ আগে বল না কি করবি,একটু টেনশন ছেড়ে বাঁচি(মৌ) শোন তুই কি জানিস রবি তোকে পছন্দ করে(নিম্মি) ওমা না তো,বলে নাই তো,বললে তাও কিছু একটা করতাম,না শুনলে কি আর(মৌ) হায় হায়,তুই মানুষ নাকি ছাগল,এর পরেও তোর প্রেম করার ইচ্ছা আছে(নিম্মি) আরে নাহ্,আমার প্রেম করার শখ এহন মাটিতে গড়াগড়ি খাইয়া মইরা গেছে গা,এখান থেকে বেরুতে পারলে নদীতে গিয়া ১০১টা ডুব দিয়া ভালা হইয়া যামু, যাই হোক তুই প্ল্যান বল(মৌ) শোন,আমি পটাবো রাশেদ কে,আর তুই পটাবি রবি কে,মানে এমন ভাব করবি যেন রবির জন্যেই তোর জন্ম,আর আমার রাশেদের জন্য,বলবি শেয়ার করে বিয়া করে ওদের লাভ নাই,মুলত ওদেরকে জয় ইমরান নাঁচাইতেছে,আসল মজা তো নিবে জয় ইমু(নিম্মি) হুম বুঝলাম,কিন্তু(মৌ) দেখ কিন্তু টিন্তু রাখ যেটা করতে বলছি কর(নিম্মি) দেখি চেষ্টা করে,উপায়ও তো নাই আর(মৌ) হুম,বেষ্ট অফ লাক(নিম্মি) তোর জন্যেও প্রতিবন্ধী (মৌ) কিছুক্ষণ পর জয় রাশেদ আর রবি কে নিয়ে এলো. মামা দেখ দুইটা পরির বাচ্চা(জয়) আরে মামা পরি কি!এরা তো তার চাইতেও ঝাক্কাস,এক্কেরে কুচুপুচু দুইডা(রাশেদ) ওরে আমার ঐস্বরিয়াগুলো রে.দেখ দোস্ত আমগো এলাকায় মৌ আর নিম্মির মতো মাইয়া এক পিস ও নাই,একশ জন বিয়া করার পরও ওদের বিয়া করতে আমি রাজি(রবি) ওরে বান্দর পোলা,দেখ না তোদের কি করি,বিয়া করবি না,খুব শখ বিয়া করার,বিয়াই করামু খাড়া(মৌ মনে মনে বললো) আরে মামা চিন্তা করিস নাতো,খেলা হপ্পে(জয়) হোহোহো করে হেসে উঠলো তিনজন. আরে তোরা হাসি থামা(হঠাৎ ইমরান এসে বললো) ইমু তুই তো গেছিলি কাজি ডাকতে,তো কাজি কই(জয়) আরে শালা কাজি আইবো না,এমন বিয়া সে পড়াবো না,বলে এমন বিয়া ধর্মে নাই,সে পারবো না(ইমরান) এই কথা শুনে মৌ আর নিম্মি দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিলো,যাক তাইলে আল্লাহ বাঁচাইবো (মনে মনে বললো নিম্মি আর মৌ) . কি!!কাজি আসে না,কাজি আইবো না ওর বাপ আইবো,চল আমার সাথে.রাশেদ রবি তোরা এখানেই থাক,আমি কাজি আনতেছি,(জয়) জয় ইমরান দুজনে গেলো কাজি কে ধরে আনতে,এদিকে রবি আর রাশেদ দুজন রইলো নিম্মি আর মৌ এর কাছে.. ওই,ওই(নিম্মি চুপি চুপি মৌ কে ডাকছে) কিইই..(আস্তে করে বললো মৌ) আমার মাথা..যা রবির কাছে যা(নিম্মি) উহ্ তুই আগে যা,আমি পামুনা(মৌ) পাবি না মানে,খুব তো প্রেম করতে পারতা,এখন বাঁচার জন্য অভিনয় করতে পারবা না,যা কইতাসি (নিম্মি) ওই তুই আগে যাইবার পাস না,খালি আমারে কস (মৌ) তুই আগে যাবি,যা(নিম্মি) না,,তু…… বলার আগেই নিম্মি মৌকে ধাক্কা দিয়া বরির দিকে দিলো.. ওমাগো, ইশ রে,ব্যাথা পাইছি(মৌ) আরে আরে কি হলো মৌটুসির,পরে গেলা কেন এভাবে.ব্যাথা পাইছো(রবি) না আ..আসলে(মৌ)

আসলে চাচা হইছে কি..(নিম্মি)

এক থাপ্পড় খাবা,চাচা মানে কি হ্যাঁ,একটু পর আমাদের বিয়ে হবে,হবু জামাইকে চাচা বলতাসো,সাহস তো কম না(রাশেদ)

 স..সরি ভাইয়াআআ(নিম্মি) আবার ভাইয়া বলো,দারাও,এই বলে রাশেদ নিম্মির দিকে আগাইতে লাগলো.

মৌ এক লাফে নিম্মির সামনে দাড়িয়ে নিম্মিকে নিজের পেছনে দিয়ে বললো. না না,চাচও না ভাইয়াও না,জামাই(মৌ) পেছন থেকে নিম্মি মৌ কে চিমটি কেটে বলে..

কি কস এগুলা.জামাই মানে(নিম্মি) ওরে প্রতিবন্ধি চাচা ভাই কইলে বিয়ার আগেই তোরে নিয়া বাসর করবো,কেমন হইবো তখন (মৌ)

 অ্যা..(নিম্মি)

অ্যা না হ্যাঁ(মৌ)

হ্যাঁ হ্যাঁ নো চাচা নো ভাইয়া অনলি জামাই(নিম্মি)

সরি আমাদের ভুল হয়ে গেছে(মৌ)

হ্যাঁ জামাই রা ভুল হয়ে গেছে,মাফ করে দিন,আর হবে না(নিম্মি)

নেক্সট টাইম মনে থাকে যেন(রবি)

হ্যাঁ হ্যাঁ,মরে গেলেও মনে থাকবে,পৃথিবী উল্টাই গেলেও মনে থাকবে,পাহাড় পর্বত ভেঙে গেলেও মনে থাকবে,নদ নদী শুকা…

 এই চুপ,বেশি কথা বলে,মুখ সেলাই করে দিবো,যত্তসব ক্যাঁচকেচির দল(রাশেদ) ওদের ধমক শুনে নিম্মি আর মৌ ভয়ে ভয়ে রুমের এক কোনায় গিয়া গুটিশুটি মেরে বসলো😦,

তুই বললি পটাইতে,এখন বল এরা পটার মতো(মৌ)?

হ রে,পোলাগুলা অনেক ভয়ংকর(নিম্মি)

 বুঝলি তাইলে(মৌ)

হুম,কিন্তু শেষ আরেকবার পটানোর চেষ্টা করলে কেমন হয়(নিম্মি)

আমার এতো রেপড্ হওয়ার শখ নাই,তোর থাকলে তুই যা পটাইতে(মৌ)

আরে রেপড্ হমু না,চল না আর একটা বার(নিম্মি) না কইসি না,এবার সত্যি সত্যি মাইরা ফেলমু কিন্তু তোরে(মৌ) সোনা পাখি,আমার টিয়া পাখি আমার,কবুতর এর বাচ্চা,চল না সোনা(নিম্মি)

আহ্ নিম্মি(মৌ)

একবার মাএ,আর একটা বার প্লিজ আমার জন্য(নিম্মি)

যা আচ্ছা আর একবারই কিন্তু(মৌ)

ওলে আমাল লক্ষি তা,উম্মাহ্(নিম্মি) হইছে ঢং করতে হবে না এতো(মৌ)

☺ করবো ঢং,একশো বার(নিম্মি)

আচ্ছা যা করিস(মৌ)

হ করবো,এখন চল(নিম্মি)

উঠে এক পা দুপা করে আবার গেলো রবি আর রাশেদের দিকে… ★ (ওরা কি পারবে রবি রাশেদ কে পটাতে,নাকি জামাই ডাবলই হবে,,নাকি গল্প অন্যদিকে মোড় নিবে?হুম উত্তর আসছে আপনাদের মাঝে,সে পর্যন্ত সাড়া দিয়ে সাথে থাকুন,আর ভাবুন তো আপনার ডাবল জামাই হলে আপনি কি করতেন)

 

,

 

 

 

 

 

 

 

৪র্থ পর্ব

 

 

রবি (মৌ) হুম..বল,কি বলবা?(রবি)

রাশেদ তুমিও আসো এদিকে(নিম্মি)

হুম রাশেদ তুমিও আসো প্লিজ(মৌ)

কি ব্যাপার আমাদের এক জায়গায় ডাকলে?কিছু বলবা?(রাশেদ)

আসলে অনেক কিছুই বলার আছে,কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছি না(মৌ) আরে বলো সমস্যা নাই(রবি)

আসলে তোমারা দুজন জয় আর ইমরানের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলছো,আসলে ওরা দুজন তোমাদের দুজন কে ইউস করছে,ওরা দুজন তো এই কাজগুলা একা সামলে নিতে পারতো না,তাই তোমাদের কে এড করছে.কাজ শেষ আই মিন আমাদের বিয়ে করে ফেললে ওরা তোমাদের আর কদর করবে না,এখন বুঝতেছো না,পরে ঠিকই বুঝবা(নিম্মি)

হ্যা রবি রাশেদ,নিম্মি ঠিক কথাই বলছে,ওরা তোমাদের ইউস করে ছুড়ে ফেলে দিবে,তার চেয়ে বরং এটা বেটার হয় না যে আমরা এখান থেকে বের হয়ে তোমাদের দুজন কে বিয়ে করি,কতো ভালো হবে(মৌ) আমরা দুজন দুজনার,আহা,ভেবে দেখ তোমরা,,, ভালো অফার তোমাদের জন্য(নিম্মি)

কিন্তু তোমরা কিভাবে জানলে যে ওরা আমাদের ইউস করছে(রবি)

আর হুম তোমরা যে এখান থেকে বেরিয়ে আমাদের বিয়ে করবে তার কি গ্যারান্টি আছে,পালিয়েও তো যেতে পারো তাইনা(রাশেদ)

নাউযুবিল্লাহ,কখনো না,পালাবো না,একদম বিয়ে করে ফেলবো,আগে তো বের করো(মৌ)

হ্যাঁ হ্যাঁ,বিশ্বাস করো বিয়ে করে সোজা বাসর ঘরে ঢুকে যাবো,কিন্তু প্লিজ ওদের হাত থেকে বাঁচাও,ওদেরকে আমাদের পছন্দ হয় না(নিম্মি)

হ্যাঁ ওদের চাইতে তোমরা কতো ভাল,প্লিজ ডিয়ার জাদুপাখিরা বের করো না(মৌ ইনোসেন্ট হয়ে বললো)

রবি রাশেদ একে অপরেরে দিকে চাওয়া চায়ি করলো, অতঃপর. হুম আমরা তোমাদের স্বর্তে রাজি(রাশেদ)

হ্যাঁ রাজি,তোমাদের বের করবোই,পরে বিয়ে করবো(রবি)

হ্যাঁ,তোমরা দাড়াও আমরা বাহিরটা দেখে আসি,কেউ আছে নাকি(রাশেদ)

হ্যাঁ,একটু ওয়েট করো জানপাখি(রবি)

রবি রাশেদ বের হয়ে গেলো,এদিকে মৌ আর নিম্মি দুজন নাগীন ড্যান্স দিচ্ছে,শেষ মেষ রেহাই পেল..মনের আনন্দ যেন থামছেই না. একবার খালি বের হতে দে শয়তানের দল,দেখ কি করি(মৌ)

হ্যাঁ,ওদেরকে আমরা হালুয়া বানিয়ে রুটি দিয়ে খাবো(নিম্মি)

হু..

পাগলের মতো প্রলাপ করছে মৌ আর নিম্মি.খুশি যেন আর ধরে না.

এরই মধ্যে ওরা দেখলো যে-জয়,ইমরান,রবি,রাশেদ একসাথে ঘরে আসলো,সাথে কাজিও আছে..এক মুহুর্তে তাদের খুশি উড়ে গিয়ে আমেরিকা ছেড়ে আফ্রিকায় চলে গেলো.

কি গো সুন্দরিরা কি ভাবছো, আমরা তোমাদের পামে পড়ে গেছি(রবি)

নাহ্,তা একদমি এটা ভেবে ঠিক করো নি,এতো সহজে আমরা আর পামে পড়ছি না,আমরা তো বাহিরে গেছিলাম তোমাদের জন্য শাড়ি আনতে,তখন রাজি হয়ার কথা বলে গেছিলাম যাতে তোমরা পালাতে না পারো,হিহিহি,(রাশেদ)

ওরে,,কুত্তা গো মনে এই ছিলো,শালা হারামজাদা,শেষ এখন আর বাঁচার উপাই নাই(মনে মনে বললো মৌ নিম্মি)

এই তোরা সবাই পান্জাবি পড়ে নে,আর কাজিকে তুই ওই রুমে নিয়ে যা.আমরা আসছি আর হ্যাঁ,ফুলটুসি রা,অনেক তো চেষ্টা করলা,পালাতে তো পারলা না,আর পারবা ও না,ঢং টং না করে শাড়ি পড়ে নাও(জয়)

সবাই যার যার মতো পান্জাবি পড়ে কাজির কাছে গিয়ে বসলো, আর এদিকে নিম্মি আর মৌ একে অপরে জড়িয়ে ধরে হাউ মাউ করে কাদতে লাগলো.শেষ রক্ষা টাও হলো না. হাতে আর কিছুই নেই রে মৌ(কাদতে কাদতে বললো নিম্মি)

না রে,আর কিছুই নেই(কান্না নিয়ে বললো মৌ)

শেষ পর্যন্ত ডাবল জামাই ই হলো.(নিম্মি) হুম রে,(মৌ)

দ্বারা আমি একটু পানি খেয়ে আসি,অনেক পিপাসা লাগছে(নিম্মি)

আমিও পানি খাবো,কলিজা শুকিয়ে গেছে একদম(মৌ)

তুই বস এখানে,আনছি আমি(নিম্মি)

ঠান্ডা পানি আনবি(মৌ)

আচ্ছা(নিম্মি)

পানির জন্য নিম্মি কিচেনে গেলো,রুমের দরজাটা খোলাই ছিলো,ফ্রিজ থেকে পানি বের করতেই নিম্মির চোখ চড়কগাছে.দৌড়ে মৌ এর কাছে এলো.

কি রে দৌড়াচ্ছিস কেন?(মৌ)

দেখ এটা কি(নিম্মি)

কি দেখবো(মৌ)

ফ্রিজ থেকে লুকিয়ে আনা অফিসারস চয়েস মদের বোতল টা সে মৌ এর সামনে ধরলো..

মদ..(মৌ)

হ্যাঁ মদ(নিম্মি)

কই পাইলি,এটা দিয়ে কি করবি?(মৌ) ফ্রিজে ছিলো,এখন আরেকটা প্ল্যান করবো,আই হোপ এটাই কাজে দিবে(নিম্মি) কি প্ল্যান(মৌ)

নিম্মি মৌ এর কানে কানে সব বললো….. প্ল্যান শুনে,মৌ এবার আবার বাঁচার পথ পেলো. বড়াবরই ইমরান এর মৌয়ের প্রতি একটু নয়,খুব বেশিই দুর্বল ছিলো.তাই সে ইমরান কেই কাজে লাগালো,আর নিম্মি কাজে লাগালো রাশেদ কে..

বলি,কেউ শুনছো,ইমু সোনা,ইমু আমার জানপাখি একটু এখানে আসো না প্লিজ,আমাকে হেল্প করো বাবুটা(মৌ)

ওদের দেরি হচ্ছে দেখে ইমরান ওদের রুমেই যাচ্ছিলো,মৌয়ের এমন আবেগ মাখা ডাক শুনে এক দৌড়ে রুমে চলে গেলো. এইতো আমার বাবুটা চলে আসছে,শোন না জান আমি না শাড়িটা পড়তেই পারছি,একটু হ্যাল্প করো না জান(মৌ)

বাহ্ মৌ কি একটিং জানে মাইরি,ফাটিয়ে দিচ্ছে পুরাই(নিম্মি মনে মনে বললো)

তারপর মৌ এর দিক চেয়ে চোখ টিপ মেরে হাতের আঙুল দিয়ে বেস্ট অফ লাক জানিয়ে চুপটি করে রুম থেকে বের হয়ে আসলো..

নিম্মি অন্য রুমে গিয়ে মৌ এর মতো করেই রাশেদ কে ডাকতে লাগলো,রাশেদ ও নিম্মির এমন আাবেগি ডাকাডাকি শুনে জয় আর রবি কে ফেলে নিম্মির রুমে আসলো. জানপাখি এসো প্লিজ,দেখো না আমি শাড়ি পড়তেই পারছি না,হেল্প করো নাগো ইক্টু(নিম্মি)

নিম্মি আর মৌ দুজনেই ব্লাউজ আর পেটিকোট পড়ে শাড়িটা কোন রকম ভাবে পেঁচিয়ে ওদের কে ডাকছিলো,এসেই যেন মাথা ঘুরে যায়,কাজ ও তাই হলো. ইমরান এক লাফে আগে রুমের দরজা টা টেনে দিলো,মৌ এর কাছে গিয়েই জড়িয়ে ধরলো,এদিকে মৌ তো এমন কাজ দেখে শকড্ হয়ে গেলো,চোখ দুটো বড় করে ফেললো. এখন কান্না চলে আসছে,নিম্মিটার কথা শুনে আবার ভুল করলাম নাতো,ইমরান তো পাগলের মতো করছে,কোন রকমে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলো মৌ. বলছি সোনা,এখনি কেন বলো?আর ইকটু ওয়েট করো জান(মৌ)

না সোনা ওয়েট আর করতে পারছি না,Now I need you baby,come on(ইমরান)

তাই সোনা,হ্যাঁ আমিও আর দেরি করতে চাই না,কিন্তু?

কিসের কিন্তু,প্লিজ কোন লেইম এক্সকিউজ দিও না এখন জান,প্লিজ কাম অন(ইমরান) বেডার শখ কতো(মনে মনে বললো মৌ) কি হলো কি ভাবছো(ইমরান)

না না কিছুনা,আসলে আমার একটা ইচ্ছা ছিলো(মৌ)

কি ইচ্ছা.. (প্রথম যেদিন কারো সাথে বেড শেয়ার করবো তখন অ্যালকোহল খাবো,আই মিন মদ টাইপ,এটা খেলে নাকি অনেক ফিলিংস আসে,প্লিজ এনে দাও না(মৌ)

মৌ এর কথা শুনে ইমরান আর দাড়ালো না,দৌড়ে মদের বোতল নিয়ে আসলো.

দাড়া ব্যাডা,দেখ এবার কি করি(মৌ) ইমরানের হাত থেকে বোতল টা নিয়ে গ্লাসে ঢাললো মদটুকু,এগিয়ে দিলো ইমরানের দিকে. তাড়াতাড়ি খাও জানু কেউ চলে আসবে(মৌ)

একের পর এক গ্লাস ইমরান খেতে লাগলো,এইবার লাস্ট,কিন্তু ইমরান তো ঠিকি আছে দিব্যি,এবার কি হবে,লাস্ট টাও খেয়ে নিলো ইমরান, তারপর উঠে মৌ এর কাছে এসে মৌকে জড়িয়ে ধরলো,এদিকে মৌ অবাক হয়ে ভয়ে অজ্ঞান হওয়ার উপক্রম,ইমরান মৌ কে ছেড়ে মৌ এর ঠোটের দিকে ওর ঠোট নিতে লাগলো,এটা দেখে মৌ নিজের চোখ বন্ধ করে নিলো. বেশ কিছুক্ষন পর ইমরানের সাড়া না পেয়ে চোখ খুলে দেখলো ও মাটিতে অজ্ঞান হয়ে পরে আছে, এক মিনিটো দারালো না আর সোজা নিম্মির ঘরে দৌড় দিলো. গিয়ে দেখে রাশেদ নিম্মিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে,এদিকে নিম্মি শুটকি টা নড়াচড়াই করতে পারছে না,এদিক ওদিক তাকিয়ে মৌ একটা স্টিলের লাঠির মতো দেখতে পেলো,তাই দিয়ে রাশেদের মাথায় আঘাত করলো,টাল সামলাতে না পেরে রাশেদ ও অজ্ঞান হয়ে পরলো,দুজনকে আর পায় কে,এক দৌড়ে সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে এলো,ততক্ষনে জয় আর রবি ইমরান আর রাশেদ কে নিয়ে ব্যাস্ত, রাস্তায় এসেই মৌ নিম্মি দেখলো তেমন গাড়ি নেই,কিন্তু একটা সাইকেল দেখতে পেল, ওটা নিয়েই মৌ চালানো শুরু করলো আর নিম্মি বসলো পেছনে,এদিকে সাইকেলওয়ালা গেছিলো প্রাকৃতিক কাজে,এসেই দেখে সাইকেল হাওয়া,পেছন ফিরে দেখে দুটো মেয়ে সাইকেল নিয়ে পালাচ্ছে,অযথা তাদের পেছনে ছুটলো,ততোক্ষণে সাইকেল মিলিয়ে গেছে.আহারে ডাবল জামাই,ডাব্বু ই খেলো,

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।